আমেরিকান কংক্রিট ইনস্টিটিউটের সেরা চ্যাপ্টার চুয়েট

বিশ্বের শীর্ষ কংক্রিট গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আমেরিকান কংক্রিট ইনস্টিটিউটের (এসিআই) নিয়ন্ত্রণাধীন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা দুই শতাধিক সংগঠনের মধ্যে সেরা চ্যাপ্টার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীদের সংগঠন এসিআই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার, চুয়েট।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এসিআই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টারের প্রধান কার্যালয় থেকে ইমেইলের মাধ্যমে এসিআই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার, চুয়েটকে এ তথ্য জানানো হয়। ইমেইলে বলা হয়, ২০২৩ সালের সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করে চুয়েটের এ সংগঠনটিকে সেরা চ্যাপ্টার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে এবং আগামী ২৪ মার্চ আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত কংক্রিট কনভেনশনে তাদের এ সম্মাননা দেওয়া হবে।

সংগঠনটির উপদেষ্টা অধ্যাপক জি এম সাদিকুল ইসলাম বলেন, সংগঠনটি এ পর্যন্ত পাঁচবার কংক্রিটসংক্রান্ত বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই অর্জন চুয়েটের পুরকৌশল, পানিসম্পদ প্রকৌশল এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানসম্মত ও যুগোপযোগী পাঠদান প্রচেষ্টারই বহিঃপ্রকাশ। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও নিরলস পরিশ্রম ব্যতীত এই অর্জন সম্ভব ছিল না।
জি এম সাদিকুল ইসলাম আরও বলেন, এই পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক, পেশাগত ও শিক্ষাগত প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে চ্যাপ্টারের ভূমিকা পর্যালোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিউনিটি প্রোগ্রাম, জ্ঞান অর্জন ও বিস্তারের মতো ব্যাপারগুলোও পুরস্কার প্রদানের মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়।

সংগঠনটির সভাপতি আবু জাফর গিফারী বলেন, ‘আমরা আমাদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু দিয়েই সেরা কিছু করার চেষ্টা করি। সদস্যদের প্রচেষ্টা এবং শিক্ষকদের পরামর্শ ও সহায়তার ফলেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে আমি মনে করি।’ প্রতিবছর এ সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের পুরকৌশল, নির্মাণ এবং কংক্রিট–সম্পর্কিত প্রকৌশল জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার, প্রতিযোগিতা, শিল্পকারখানা ভ্রমণসহ নানা কার্যক্রম আয়োজন করে থাকে।
পুরস্কারপ্রাপ্তির বিষয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আয়শা আখতার বলেন, পুরকৌশল, পানিসম্পদ প্রকৌশল এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক শ্রেষ্ঠতম হওয়া তাদের একাগ্রতা এবং নিরলস পরিশ্রমেরই ফসল। এটি চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের জন্য অনন্য প্রাপ্তি, যা শিক্ষার্থীদের দক্ষ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মক্ষেত্রে আত্মপ্রকাশের সম্ভাবনাকে গতিশীল করবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top